স্কাউটদের আত্মত্যাগ নতুন দেশ গড়ার প্রেরণা: শিক্ষা উপদেষ্টা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:০৯, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৬:১২, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
স্কাউট সদস্যদের হাতে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড, প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড এবং প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আবরার।
‘জুলাই গণআন্দোলনে নিহত ১১ স্কাউট ও আহতদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের প্রেরণা খুঁজে পাই’ বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। তিনি বলেন, ‘হতাহতরা আমাদের নতুন দেশ গড়ার স্বপ্নকে শক্তি দিয়েছেন। তাদের ত্যাগ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও চিরন্তন অনুপ্রেরণা’।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের স্কাউট সদস্যদের হাতে শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড, প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ড এবং প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন তিনি।
রাজধানীর সদর দপ্তরের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কাউটসের অন্তর্বর্তী জাতীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক। সভাপতিত্ব করেন স্কাউটসের সভাপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।
স্কাউটিংয়ের মূল দর্শন তুলে ধরে শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আবরার বলেন, ‘স্কাউটিং কেবল ব্যাজ অর্জনের প্রক্রিয়া নয়, এটি চরিত্র গঠন, মানবিক মূল্যবোধ শেখা, দলগত নেতৃত্ব, দায়িত্ববোধ এবং সমাজসেবার যুগান্তকারী প্রশিক্ষণ’।
দুর্যোগ মোকাবিলায় স্কাউটদের অবদান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, আগুন বা যেকোনো দুর্যোগে দেশের প্রতিটি প্রান্তে সাধারণ মানুষের পাশে প্রথম সারিতে থাকেন স্কাউট সদস্যরা। আত্মনির্ভরশীল ও সেবামুখী নাগরিক তৈরিতে স্কাউটিংয়ের বিস্তৃতি আরও বাড়ানো জরুরি’।
আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরে ড. আবরার বলেন, ‘বিশ্বের ১৭৬টি স্কাউট দেশের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছে, এটি আমাদের গর্ব। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের বিভিন্ন কমিটি ও সাব-কমিটিতে বাংলাদেশি স্কাউটদের নেতৃত্ব আমাদের সক্ষমতার দৃষ্টান্ত’।
বাংলাদেশ স্কাউটসে নারীদের অংশগ্রহণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ায় স্কাউট নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান শিক্ষা উপদেষ্টা।
অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত স্কাউটদের উদ্দেশে তিনি অনুপ্রেরণাদায়ী বার্তা দিয়ে বলেন, ‘তোমরাই জাতির আগামী নেতৃত্ব। সততা, সাহস, দৃঢ়তা আর মানবিকতার মাধ্যমে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে- এটিই দেশের প্রত্যাশা’।
