রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠকের পর তফসিল চূড়ান্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৫৫, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৪৭, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গ্রাফিক্স : সমাজকাল
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করে এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজনৈতিক দলগুলোও এবার আগেভাগে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ কোনো কোনো দল তফসিল ঘোষণার আগেভাগেই প্রাথমিকভাবে প্রার্থী মনোনয়ন করে রেখেছে। এখন অপেক্ষা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার।
প্রথা অনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির কাছে সার্বিক প্রস্তুতি অবহিত করতে বঙ্গভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ইসির সদস্যরা। এরপর কয়েকদিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচর ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)।
এ জন্য আগামীকাল রবিবার দুই ভোটের তফসিল পর্যালোচনায় সভায় বসতে যাচ্ছে ইসি। সকাল সাড়ে ১০টায় নির্বাচন কমিশনে এ সভা হবে।
ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করার কথা রয়েছে; আর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই সময়ে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হবে।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, “রবিবার কমিশন সভায় তফসিলের সময়সূচি নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তফসিল চূড়ান্ত করা হবে।”
তিনি জানান, তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কারা রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার হচ্ছে তাও প্রজ্ঞাপন আকারে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আইন-বিধি-নীতিমালায় নানা ধরনের সংস্কার হওয়া হয়েছে এবার। আইন-বিধি শতভাগ প্রতিপালনে ইসির শক্ত অবস্থান থাকবে এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। পরে ওই বছরের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরে দায়িত্ব নেয় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার অনুষ্ঠেয় ইসির সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এ সভায় তফসিলসহ ১০টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে আছে— তফসিলের আগের ও পরের কার্যক্রম, গণভোট আয়োজনসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা, মাঠ পর্যায়ে সর্বোচ্চ যোগাযোগ, মতবিনিময়, সমন্বয় সংক্রান্ত বিষয়।
ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ, আইনবিধি সংস্কার, রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, প্রয়োজনীয় কেনাকাটাসহ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন হয়, ইতিমধ্যে সেগুলো শেষ হয়েছে। এখন তফসিল ঘোষণার অপেক্ষা। ৭–১১ ডিসেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করার পরিকল্পনা আছে সাংবিধানিক এই সংস্থার। সে ক্ষেত্রে ভোট হবে আগামী বছরের ৫–১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে।
