ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে তরুণরাই সামনে থাকে: আসিফ নজরুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:৫৬, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলনে তরুণরাই সামনে থাকে: আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত
দেশে যখনই ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের আন্দোলন হয়েছে, তরুণরাই সেই লড়াইয়ের সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ষষ্ঠ জেসাপ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় ড. আসিফ নজরুল বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে বীরত্ব দেখিয়েছে, তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তবে এটাই প্রথম নয়। আমাদের তরুণরা সবসময় ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।”
তিনি আরও বলেন, আজকের তরুণদের অংশগ্রহণ প্রমাণ করছে—তারা শুধু আন্দোলনে নয়, আদালত কক্ষে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ন্যায়বিচারের পক্ষে সোচ্চারভাবে ওকালতি করতে সক্ষম।
এ বছর দেশের ৫২টি বিশ্ববিদ্যালয় জেসাপ কর্মশালায় অংশ নিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক আইন শেখা ও বিতর্কচর্চায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আগ্রহই এ অংশগ্রহণের প্রতিফলন। জেসাপ বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম জেসাপ যোগ্যতা অর্জনকারী প্রতিযোগিতা। এটি শিক্ষার্থী, কোচ, আয়োজক এবং মুট কোর্ট কমিউনিটির নিষ্ঠার বিজয়।”
জেসাপের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়; কঠোর গবেষণা, স্পষ্ট লেখা, প্ররোচণামূলক অ্যাডভোকেসি এবং কার্যকর দলগত দক্ষতা গড়ে তোলে।”
উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, কর্মশালাটি তরুণদের দক্ষতা আরও শাণিত করবে এবং ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের অঙ্গীকার আরও শক্তিশালী হবে।
দুদিনব্যাপী ‘মে ইট প্লিজ দ্য কোর্ট: দ্য কেস কনসার্নিং দ্য ক্রাফট অব জেসাপ অ্যাডভোকেসি’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে যৌথভাবে জেসাপ বাংলাদেশ ও ইন্টারন্যাশনাল ল স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (আইএলএসএ), যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, বিদেশি প্রসিকিউটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ল এবং হার্থ বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের আবাসিক আইন উপদেষ্টা সেরা সেথলিকাই, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. ডেভ ডাওল্যান্ড, স্কুল অব ল’র সহকারী অধ্যাপক মো. মোস্তফা হোসেন, আইএলএসএ–এর জাতীয় সমন্বয়কারী নূরান চৌধুরী, হার্থ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক পরব নাসের সিদ্দিক এবং জেসাপ বাংলাদেশের জাতীয় প্রশাসক মাইমুনা সৈয়দ আহমেদ।
