প্রিপেইড মিটারে ডিমান্ড চার্জ-ভাড়া নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের ব্যাখ্যা

বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারে ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কাটা নিয়ে গ্রাহকদের বিভিন্ন প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সংস্থাটি জানায়, প্রিপেইড ও পোস্ট পেইড—উভয় মিটারেই বিদ্যুৎ ব্যবহারের হিসাব একই ধরনের। তবে প্রিপেইড গ্রাহকরা প্রতি মাসের প্রথম রিচার্জেই ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া পরিশোধ করেন। কোনো মাসে রিচার্জ না হলে পরবর্তী রিচার্জে পূর্বের বকেয়া মাসগুলোর চার্জ একসঙ্গে কাটা হয়।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বার্তায় বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, অনুমোদিত লোড অনুযায়ী আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোওয়াট ডিমান্ড চার্জ মাসে ৪২ টাকা এবং নিয়ম অনুযায়ী ৫ শতাংশ ভ্যাট কাটা হয়। বিতরণ প্রতিষ্ঠানের দেওয়া মিটারের ক্ষেত্রে সিঙ্গেল ফেজে মাসিক ৪০ টাকা ও থ্রি ফেজে ২৫০ টাকা হারে মিটার ভাড়া প্রযোজ্য। তবে গ্রাহকের নিজস্ব মিটার হলে ভাড়া প্রযোজ্য নয়।

বিদ্যুৎ বিভাগ আরও জানায়, প্রিপেইড মিটারে এনার্জি রিচার্জের ওপর ০.৫ শতাংশ সরকারি রিবেট প্রাপ্তি একটি বাড়তি সুবিধা। পাশাপাশি প্রিপেইড মিটার সংযোগে কোনো নিরাপত্তা জামানত লাগে না, যা পোস্ট পেইডে বাধ্যতামূলক।

গ্রাহক যেকোনো সময় বিকাশ/নগদ/উপায়/রবি/জিপি/ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে রিচার্জ করতে পারেন। এতে যাতায়াত খরচ ও সময় সাশ্রয় হয়। এছাড়া ভেন্ডিং স্টেশন, পস এজেন্ট ও ব্যাংক বুথ থেকেও রিচার্জের ব্যবস্থা রয়েছে।

মিটারের ব্যালেন্স কমে গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যালার্ম বা নোটিফিকেশন পাওয়া যায় এবং গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহৃত এনার্জির হিসাব জানতে পারেন।

বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স শেষ হলেও গ্রাহক বিকেল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও ইমার্জেন্সি ক্রেডিট সুবিধা ভোগ করতে পারেন। ব্যবহৃত ইউনিটের মূল্য পরবর্তী রিচার্জে সমন্বয় হয়ে যায়।

মিটারে অবশিষ্ট ব্যালেন্স থাকলে তা থেকে ব্যবহৃত ইউনিটের খরচ কাটা হয়, কিন্তু ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া কাটা হয় না—যা শুধুমাত্র প্রথম রিচার্জেই কাটা হয়।

বিদ্যুৎ বিভাগের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রিপেইড মিটারের সুবিধা হলো—ব্যবহার, ব্যালেন্স এবং খরচ সবকিছুই স্বচ্ছভাবে জানা যায়, ফলে গ্রাহক বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও সচেতন হতে পারেন।