থাই ই–ভিসা নিয়ে সতর্ক করল দূতাবাস

বাংলাদেশে কিছু ট্রাভেল এজেন্সি ২–৩ ঘণ্টার মধ্যে থাই ই–ভিসা নিশ্চিত করে দেওয়ার যে দাবি করছে—এটি সম্পূর্ণ ভুল, বিভ্রান্তিকর এবং অসম্ভব বলে সতর্ক করেছে ঢাকাস্থ রয়েল থাই দূতাবাস। 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) এক আনুষ্ঠানিক বার্তায় এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান জানায় দূতাবাস।

দূতাবাস জানায়, তাদের নজরে এসেছে যে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি এজেন্সি বিজ্ঞাপন দিয়ে থাই ভিসার ‘এক্সপ্রেস অ্যাপ্রুভাল’ মাত্র ২ ঘণ্টায় নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। দূতাবাস স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, কোনো এজেন্সির পক্ষে থাই ই–ভিসা অনুমোদনের নিশ্চয়তা দেওয়া আইনগতভাবেই অসম্ভব।

বার্তায় থাই দূতাবাস তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছে—কোনো এজেন্সি থাই ই–ভিসার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।ই–ভিসার আবেদন নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী কঠোরভাবে পর্যালোচনা করা হয়।ভুল বা বিভ্রান্তিকর পরিষেবা এড়িয়ে চলতে আবেদনকারীদের প্রতি পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

দূতাবাস আরও বলেছে, ভিসা প্রক্রিয়া একটি সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থা—এটির ওপর কোনো বেসরকারি এজেন্সির নিয়ন্ত্রণ নেই। দ্রুত ভিসা দেওয়ার নামে অযথা টাকা নেওয়া বা ভুয়া প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রতারণার শামিল।

থাইল্যান্ড ভ্রমণের পরিকল্পনা করা যাত্রীদের প্রতি দূতাবাসের পরামর্শ, সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই ই–ভিসার আবেদন করা এবং যেকোনো ধরনের “গ্যারান্টি” বা “এক্সপ্রেস ভিসা” অফার থেকে বিরত থাকা।