রোববার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

| ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকার দাবি ‘অসত্য ও পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা’

বরাদ্দ ৬৩ লাখ টাকা, ব্যয় ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার: জানাল সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:৫৮, ৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৩৭, ৭ নভেম্বর ২০২৫

বরাদ্দ ৬৩ লাখ টাকা, ব্যয় ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার: জানাল সরকার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় নিয়ে ‘অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি’ রোধে বিস্তারিত হিসাব প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়, কমিশনের আপ্যায়ন খাতে ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর।

বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে কার্যক্রম শুরু করার পর ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কমিশনের মোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

আপ্যায়ন খাতে সীমিত ব্যয়

সরকার জানায়, মোট বরাদ্দের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা। এই অর্থের বড় অংশই ব্যয় হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক, আলোচনাসভা এবং কমিশনের নিজস্ব সভাগুলোতে নাশতা, মধ্যাহ্নভোজ ও নৈশভোজের জন্য।

প্রথম পর্যায়ে ৪৪টি বৈঠকে আপ্যায়ন বাবদ খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ২৩টি সভায় ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা—যার প্রতিদিনের গড় খরচ ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম। তৃতীয় পর্যায়ের সাতটি বৈঠকে ৩০টি দলের প্রতিনিধির অংশগ্রহণে ব্যয় হয় ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা।

নিজস্ব সভা ও বিশেষজ্ঞ বৈঠকের ব্যয়

কমিশনের নিজস্ব ৫০টি সভায় ব্যয় হয়েছে মাত্র ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা। নাগরিক সমাজ, পেশাজীবী এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে ১৩টি অনুষ্ঠানে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৩৪০ টাকা। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ১৪টি বৈঠকে ব্যয় হয়েছে মাত্র ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা, যেখানে কোনো বিশেষজ্ঞ সম্মানী বা ভাতা নেননি।

এছাড়া, ৯ মাসে বিদেশি কূটনীতিক, দেশি-বিদেশি প্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতা ও গণমাধ্যমকর্মীদের আপ্যায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

সরকার বলেছে, “৮৩ কোটি টাকার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার একটি পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।”

কমিশন আশা প্রকাশ করেছে, এই প্রোপাগান্ডা চালানো মহল দ্রুত ভুল স্বীকার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের এই বিস্তারিত ব্যয় বিবরণ প্রমাণ করে যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আর্থিক কার্যক্রম স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হচ্ছে। সরকারের দাবি, এই তথ্যমূলক ব্যাখ্যার মাধ্যমে জনগণের বিভ্রান্তি দূর হবে এবং গুজবের অবসান ঘটবে।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ:

নির্বাচনী ইশতেহারে অর্থ, পেশীশক্তি ও ধর্মের অপব্যবহার বিষয়ে অঙ্গীকার চায় টিআইবি
সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে ‘ব্যর্থ’: টিআইবি
বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম
কৃষি কর্মকর্তাদেরও লটারির মাধ্যমে পদায়ন: কৃষি উপদেষ্টা
আরও ১০০ কোল্ড স্টোরেজ: কৃষি উপদেষ্টা
ভোটের দায়িত্ব পাচ্ছেন না বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তারা
১৯৭১ সালেই মানুষ তাদের কর্মকাণ্ড দেখেছে : তারেক রহমান
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনারের বৈঠক
রোজা–পূজা নিয়ে মন্তব্য : জামায়াত প্রার্থী শিশির মনিরের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার মামলা
৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ : পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান
নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি
রাজবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধাদের সংরক্ষিত কবরস্থানে নাশকতা
প্রেস সচিবের ফেসবুক পোস্ট; ৩ কয়লাখনি থেকে কয়লা না তোলা ভুল ছিল
আজ নোয়াখালী মুক্ত দিবস
শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু
বিটিআরসির সামনে মোবাইল ব্যবসায়ীদের সড়ক অবরোধ
‘মিনেসোটা প্রোটোকল’ মেনে শুরু জুলাই শহীদদের শনাক্তকরণ
বইয়ের জ্ঞান খেলাপিদের কাছে হার মানল: উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন
এভারকেয়ারে জোবাইদা, চলছে মেডিকেল বোর্ডের সভা