দুটি জেলা ও ৬৭ উপজেলা অফিস না থাকায় নিবন্ধন পায়নি আম জনতার দল
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭:২০, ৬ নভেম্বর ২০২৫
ছবি: বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টির ওয়েব সাইট থেকে।
নিবন্ধনের শর্ত অনুযায়ী দুটি জেলা ও ৬৭টি উপজেলা কার্যালয়ের কার্যক্রম ও সক্রিয়তা না পাওয়ায় আম জনতার দলকে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন এই দলের নিবন্ধন আবেদন ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮’-এর বিধি ৭(৬) অনুযায়ী না-মঞ্জুরপূর্বক নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখা।
ইসির উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি দলটির সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানকে জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়, গত ২০ এপ্রিল আম জনতার দল নিবন্ধনের আবেদন করলেও, প্রাথমিকভাবে দলটির ব্যাংক হিসাব, তহবিলের উৎস, ৩৩ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ, ও কার্যালয়সংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি ধরা পড়ে।
এরপর ১৫ জুলাই ইসি দলটিকে ঘাটতি পূরণের জন্য নির্দেশ দিলে, তারা প্রয়োজনীয় নথি জমা দেয়। তবে তদন্তে দেখা যায়, ২২টি জেলা কার্যালয়ের মধ্যে ২টি এবং ১০০টি উপজেলা কার্যালয়ের মধ্যে ৬৭টি অফিস ও ২০০ ভোটার সমর্থকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এই কারণেই কমিশন আবেদনটি বাতিল করে।
নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে আম জনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচন ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছেন। তিনি দাবি করেন, “আমাদের সব জেলা ও উপজেলায় সক্রিয় কার্যালয় রয়েছে। ইসির তদন্ত কর্মকর্তারা ভুল বা অসম্পূর্ণ প্রতিবেদন দিয়েছেন।”
তারেক আরও বলেন,“কমিশন এখন বলছে আদালতে যেতে। কিন্তু নির্বাচনের সময় চলে এসেছে—এখন আদালতে গিয়ে কী হবে? আমাদের সব শর্তই পূরণ করা হয়েছে। এই অনশন চলবে।”
ইসি বলছে, দলটির কার্যক্রম যাচাই-বাছাইয়ের পরও মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক কাঠামো পাওয়া যায়নি। ফলে বিধি অনুযায়ী নিবন্ধন দেওয়া সম্ভব হয়নি। নির্বাচন সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানান, “এটি রাজনৈতিক নয়, পুরোপুরি প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত।”
আম জনতার দলের সদস্য সচিবের অনশন কর্মসূচির প্রতি গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা সংহতি প্রকাশ করেছেন।
তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন নতুন দলগুলোকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করছে না এবং অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব কাজ করছে।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর ইসি জাতীয় নাগরিক পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এবং ডেসটিনির রফিকুল আমীনের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেয়।
তবে আম জনতার দলসহ ১১টি দল বাদ পড়ে।
