শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
১২ অক্টোবর থেকে বিনামূল্যে শিশুদের টাইফয়েডের টিকা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:১৮, ৭ অক্টোবর ২০২৫
টাইফয়েড জ্বর থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশে বিনামূল্যে টাইফয়েডের টিকা দেবে সরকার। ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়া হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম যেকোনো শিশু এই টিকা দিতে পারবে।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম রাজধানীর শাহবাগে কনভেনশন সেন্টারে 'টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫' এর জাতীয় অ্যাডভোকেসি সভায় এই তথ্য জানান। এসময় তিনি শিশুদের টাইফয়েডের টিকা শতভাগ নিশ্চিতের নির্দেশনা দেন।
এসময় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এখনও বাংলাদেশে টাইফয়েডে শিশু মারা যায়, এটি মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়। ডায়রিয়া, রাতকানা রোগসহ অনেক রোগ আমরা প্রতিরোধ করেছি। অথচ টাইফয়েডে এখনও দেশের শিশু মারা যায়, অঙ্গহানি হয়। দেরিতে হলেও আমরা টাইফয়েডের টিকাদান শুরু করেছি। আশা করি সফল হবো।
টিকাদান কর্মসূচির প্রচারণা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমার ঘরে আমি প্রচার-প্রচারণার কোনো লক্ষ্মণ পাইনি। নাতি নাতনি আছে, কাজের লোকেরও বাচ্চা আছে। কেউ বলল না। তার মানে আমরা সব ঘরে পৌঁছাতে পারিনি। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব একটি শিশুও যাতে বাদ না যায়। জন্ম সনদ থাকুক না থাকুক, সবাইকে সুযোগ দিতে হবে। প্রচার প্রচারণা আরও বাড়াতে হবে। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হলো- আশা করি, আমরা আমাদের সন্তানদের রক্ষা করতে পারবো। ইপিআই এর সাফল্য আছে টিকা দানে, এতেও সাফল্য আসবে ইনশাআল্লাহ।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে শতভাগ শিশুর টিকাদান নিশ্চিত করবো৷ মানুষের মধ্যে যাতে ভুল ধারণা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমাদের মানুষকে বুঝাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃত্বের পাশাপাশি গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে।
এসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য খাতে আমাদের সবচেয়ে সফল কর্মসূচি হলো টিকাদান কর্মসূচি। টাইফয়েডও হয়ত রেগুলার টিকাদান কর্মসূচিতে ঢুকবে৷ আমরা টিকাদানে সক্ষম জনশক্তি বাড়াতে চাই। এজন্য মেডিকেল কলেজ ও নার্সিং কলেজ এর শিক্ষার্থী এবং ইন্টার্নদের সংযুক্ত করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা মো. আবু জাফর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনস্বাস্থ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ টি এম সাইফুল ইসলাম, এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক দাউদ মিয়া, ইউনিসেফের দীপিকা শর্মা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডেপুটি রিপ্রেজেনটেটিভ রাজেশ নরওয়ানসহ বিদেশি প্রতিনিধি, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের টিকাদান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনে সহযোগিতা করছে- গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (গাভি) এবং ইউনিসেফ। টিকা নিতে ইতিমধ্যে প্রায় দুই কোটি শিশু নিবন্ধন করেছে। টিকাদানের সময় নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিশু আসলেও টিকা পাবে। তবে নিবন্ধনে উৎসাহিত করছে কর্তৃপক্ষ।
