মার্সিডিজ-বেঞ্জ ফ্যাশন উইক ২০২৫
আফসানা ফেরদৌসীর পোশাক এবং কলম্বোর ফ্যাশন শো
রাজীব শাঁখারী
প্রকাশ: ২১:৪৬, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
‘ফিউচার ক্র্যাফট রানওয়ে’ পর্বে প্রদর্শিত হয় আফসানা ফেরদৌসীর বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের পোশাকগুলো। ছবি: সংগৃহীত
১৯ থেকে ২৩ নভেম্বর শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘মার্সিডিজ-বেঞ্জ ফ্যাশন উইক ২০২৫’। পাঁচটি ভিন্ন থিমে নানা দেশের তরুণ ডিজাইনাররা প্রদর্শন করেন তাদের নান্দনিক ডিজাইনের পোশাক। আয়োজনে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নেন ফ্যাশন ডিজাইনার আফসানা ফেরদৌসী।
ফ্যাশন উইকের তৃতীয় দিন ২১ নভেম্বর (শুক্রবার) ‘ফিউচার ক্র্যাফট রানওয়ে’ পর্বে প্রদর্শিত হয় আফসানা ফেরদৌসীর বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের পোশাকগুলো। পর্বের মূল উদ্দেশ্য ছিল ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্পকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গ্রহণযোগ্য করে উপস্থাপন করা।

আফসানা ফেরদৌসীর ‘মেমোরি অব ওয়াটার’ শীর্ষক সংগ্রহটিতে ছিল নারীদের পাঁচটি ও পুরুষদের পাঁচটি ভিন্ন ডিজাইনের পোশাক। খাদি, সুতি ও লিনেন কাপড়ের ক্যানভাসে দেশীয় নকশায় পোশাকগুলো তৈরি করেছেন আফসানা নিজেই। তার পুরো সংগ্রহে ছিল সাদা ও নীল রঙের আধিক্য। প্রাকৃতিক ইন্ডিগো ডাই ও মঞ্জিষ্ঠা রঙের ব্যবহার করা হয়েছে।
আফসানা ফেরদৌসীর সংগ্রহে ছিল শাড়ি, টপ, স্কার্ফ। আর ছেলেদের জন্য লুঙ্গি, প্যান্ট, শার্ট, শাল ইত্যাদি। বাংলাদেশের নদীর গল্প, নদীর নাম, ফারসি কবি জালালউদ্দিন রুমির বাণী ও বঙ্গোপসাগর নিয়ে নানা ধরনের উক্তি উঠে এসেছে তার নকশিকাঁথা সেলাইয়ে। এমনকি গয়নায় পাখি, মাছ ও হাঁসের মোটিফও কাপড় দিয়ে বানানো। এছাড়া তার কালেকশনে ছিল শোলার মুকুট ও পাটের ব্যাগ।

শো প্রসঙ্গে আফসানা ফেরদৌসী বলেন, ‘আয়োজকেরাই মেইলে যোগাযোগ করে। এই ফ্যাশন শোতে বাংলাদেশের বয়নশিল্পের প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছি। দেশীয় উপকরণ দিয়েও যে আন্তর্জাতিক মানের পোশাক তৈরি করা যায়, তা–ই দেখাতে চেয়েছি।’
আয়োজনটিতে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিয়েছেন ভারত, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার ফ্যাশন ডিজাইনাররা।
