অভিনেত্রী মানেই দামি প্রসাধনী—এ ধারণা ভুল প্রমাণ করছেন মৃণাল ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, তার প্রতিদিনের স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার রুটিন তৈরি হয় ঘরে থাকা সহজ উপকরণ দিয়ে। অ্যালোভেরা জেল, মধু, ব্রাউন সুগার, আমন্ড অয়েল, কলা, লেবু, পেঁপে ও নারকেল তেল—এই কয়েকটি উপাদানেই মৃণালের ত্বক থাকে উজ্জ্বল, চুল থাকে মজবুত। 

শীতে অনেকের শরীরে দুর্বলতা ও স্নায়ু অবশ ভাব দেখা দেয়, যা মূলত ভিটামিন বি১২ ও আয়রনের ঘাটতির ফল। স্নায়ু মজবুত রাখতে নিয়মিত ডালিম, বিট, বাদাম, তেলযুক্ত মাছ ও গ্রিন টি খাওয়া উচিত। এই খাবারগুলো শরীরে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকে সক্রিয় রাখে এবং ঠান্ডার ক্লান্তি দূর করে প্রাণশক্তি ফিরিয়ে আনে।

শীতে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে খুশকি বাড়ে। নিম–অলিভ অয়েল, পেঁয়াজের রস, পাতিলেবু মেশানো হেয়ার প্যাক ও গরম নারকেল তেল—৪টি ঘরোয়া কৌশলে স্বস্তি পান।

চাকরির ভাইভা—একটি শব্দই যেন অনেকের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। এটি কেবল জ্ঞান যাচাইয়ের ক্ষেত্র নয়, বরং আপনার ব্যক্তিত্ব, উপস্থিত বুদ্ধি, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এবং আত্মবিশ্বাস—সবকিছুরই পরীক্ষাস্থল। তাই ভাইভার প্রস্তুতির পাশাপাশি নিজের সাজপোশাক ও উপস্থাপন নিয়েও সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ, “আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী”—এই প্রবাদটি চাকরির সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য।

ত্বকচর্চার জগতে দিন দিন নতুন উপাদানের সংযোজন ঘটছে। এক সময় শুধুমাত্র ফেসওয়াশ, টোনার বা ময়েশ্চারাইজারেই সীমাবদ্ধ ছিল সৌন্দর্যচর্চা; এখন সেই জায়গা দখল করছে বিভিন্ন প্রকার অ্যাসিড। তাদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড -একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা আখের রস থেকে তৈরি হয় এবং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ও কোমল।

সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে স্কিনকেয়ার মানেই নতুন নতুন ট্রেন্ড! প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইনফ্লুয়েন্সার বা তথাকথিত বিশেষজ্ঞ হাজির হন ত্বকের জন্য ‘অবশ্যই উপকারী’ এমন কোনো নতুন পদ্ধতি নিয়ে—কখনও বরফ পানিতে মুখ ডুবিয়ে রাখা, কখনও আবার মুখে টেপ লাগিয়ে ঘুমানো! কিন্তু আসলেই কি এইসব ট্রেন্ড ত্বকের উপকার করে, নাকি অজান্তেই ক্ষতি ডেকে আনে?

চুলের যত্নে ডিম আর দই—দুটোই খুব পরিচিত উপাদান। কার জন্য কোনটি উপযুক্ত, তা জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে।

সাজতে গিয়ে হঠাৎ দেখা গেল মাসকারা শুকিয়ে গেছে—তখন? চিন্তার কিছু নেই...

আজকের যুগে ‘যৌবন ধরে রাখা’র আকাঙ্ক্ষা যেন সীমাহীন। এক সময় যেখানে ফেসলিফট ছিল ধনীদের মধ্যবয়সী রূপসন্ধানীদের জন্য, এখন তা ছড়িয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্মের মাঝেও। ২০-এর ঘরে পা রাখা অনেক তরুণ-তরুণীই ছুরি-কাঁচির নিচে মুখের গড়ন বদলে ফেলছেন নতুন সৌন্দর্যের সংজ্ঞায়।

শরীরের নানা প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগাতে কিংবা ছোটখাটো অসুখ সারাতে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর জুড়ি মেলা ভার। এটি যেমন খাবার ও পানীয় হিসেবে কার্যকর, তেমনি বাহ্যিকভাবেও বহুদিন ধরে রূপচর্চা ও প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। ঠান্ডা প্রভাব, প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা ও ত্বক মসৃণ রাখার গুণে এটি ‘প্রাকৃতিক জেল’ হিসেবে জনপ্রিয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন—সবার জন্য অ্যালোভেরা একেবারেই নিরাপদ নয়। বরং কিছু ক্ষেত্রে এটি ত্বকের মারাত্মক ক্ষতির কারণও হতে পারে।