শেখ হাসিনা–কামালের সাজা বাড়াতে আপিল করবে প্রসিকিউশন

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ড ও আমৃত্যু কারাদণ্ডের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে বুধবার। 
ফলে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে চাইলে আজ থেকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে সংশ্লিষ্ট পক্ষের।

এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানিয়ে দিয়েছে—তারা ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল দাখিল করবে।

বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম বলেন—“পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর আমরা পর্যালোচনা করেছি। একটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এই অভিযোগেও মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত ছিল। তাই উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

গত ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দেওয়া প্রথম রায়।

রায়ে তাদের বাংলাদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করে তা জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ব্যবহারের নির্দেশও দেওয়া হয়।

মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনিই মামলার একমাত্র গ্রেফতারকৃত আসামি।

আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, রায়ের বিরুদ্ধে আজ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করা যাবে। প্রসিকিউশনের ঘোষণার পর এখন নজর উচ্চ আদালতের দিকে—সাজা বাড়ানোর আবেদন আদালত গ্রহণ করবে কি না, সেটিই এখন অপেক্ষার বিষয়।