চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি হাতে যাবে কি না, ৪ ডিসেম্বর রায় দেবেন হাইকোর্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:২০, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল। ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার জন্য হস্তান্তরের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৪ ডিসেম্বর এই রায় দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিটের পটভূমি
চট্টগ্রাম বন্দরের কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল এনসিটি বিদেশি কোম্পানির কাছে হস্তান্তর জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও সার্বভৌমত্বের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ—এই যুক্তিতে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন ৩০ জুলাই রিট করেন।
রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন। পরবর্তী ধার্য তারিখ অনুযায়ী ১৯ নভেম্বর থেকে রুলের ওপর মূল শুনানি শুরু হয়।
গত ২০ নভেম্বর আদালত চুক্তির সব কার্যক্রম স্থগিত রাখতে মৌখিক নির্দেশ দেয় সরকারকে।
আইনজীবীদের অবস্থান
রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এনসিটির গুরুত্ব
২০০৭ সালে নির্মিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালটি চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে ব্যস্ত কার্যকর টার্মিনালগুলোর একটি। অবকাঠামো নির্মাণ, যন্ত্রপাতি সংযোজন ও সম্প্রসারণে বন্দর কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
দেশের মোট আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার পরিবহনের একটি বড় অংশই এনসিটির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়—এ কারণে এটি বন্দর কার্যক্রমের কেন্দ্রীয় অঙ্গ।
রায়কে ঘিরে আগ্রহ
জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে পরিচালনার প্রশ্নটি গত কয়েক মাস ধরে অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক ও নীতি–নির্ধারণী মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ফলে ৪ ডিসেম্বরের রায় কেবল এনসিটি–সংক্রান্ত চুক্তিই নয়, ভবিষ্যতের বন্দর ব্যবস্থাপনা ও নীতির ওপরও বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
