হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:১৪, ১০ নভেম্বর ২০২৫
সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে গুলি করার সে মুহূর্ত (ইনসেটে নিহত মামুন)। ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর পুরান ঢাকায় আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এক সময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের জাহিদ আমিন ওরফে হিমেল হত্যা মামলার হাজিরা দিতে ওই দিন আদালতে উপস্থিত হন মামুন।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমিনুন নেসা এদিন সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছিলেন। তবে সাক্ষী হাজির না হওয়ায় নতুন তারিখ ৪ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।
হাজিরা শেষে মামুন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫১ মিনিটের দিকে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে কিছুদূর এগোতেই তিনি দৌড়ে আবার ভিতরে প্রবেশ করেন। এসময় দু’জন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মী মো. তারেক জানান, “দুইজন দুর্বৃত্ত টার্গেট করে গুলি চালালে একটি গুলি হাসপাতালের জানালার গ্লাসে লাগে, আর তিনটি মামুনের শরীরে লাগে।” গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যালে ও পরে ঢাকা মেডিক্যালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামুন চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ২০ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করেন। ২০২৩ সালে জামিনে মুক্তি পেলেও কয়েক মাস পর তেজগাঁও বিজি প্রেস এলাকায় তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়, যাতে এক আইনজীবী নিহত হন।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় গত বছরের ৯ মে আদালত মামুনসহ ৬ আসামিকে খালাস দেন, তবে আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।
তারিক সাইফ মামুনের খালাতো ভাই হাফিজ সাংবাদিকদের জানান, “আমার ভাই সাধারণ মানুষ ছিলেন, কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কে বা কারা কেন তাকে হত্যা করেছে, তা আমরা জানি না।”
মামুনের আইনজীবী মেহেদী হাসান বলেন, “এ মামলাটি অনেক পুরনো। সাক্ষীরা আসে না, তাই আদালতকে মামলাটি দ্রুত শেষ করার অনুরোধ করেছিলাম। হাজিরা শেষে মামুন কোথায় গিয়েছিলেন তা জানি না।”
