তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাই জনগণের দাবি: জয়নুল আবেদীন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৩৭, ২ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৫৬, ২ নভেম্বর ২০২৫
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। ছবি: সমাজকাল
বাংলাদেশের সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে যুক্ত হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকেই জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য বলে মত দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। তিনি বলেছেন, ‘২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন এবং ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে—দেশের জনগন এমন বিতর্কিত নির্বাচন হোক, তা চায় না। জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারই চায়।’
রবিবার (২ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) সংক্রান্ত মামলার ষষ্ঠ দিনের শুনানিতে এ কথা বলেন জয়নুল আবেদীন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে তিনি শুনানি করেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে শুনানি শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। এরপর পরবর্তী শুনানির দিন মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ধার্য করা হয়।
বিরতির আগে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সফররত নেপালের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ মান সিং রাউত। তিনি বিচারপতিদের সঙ্গে এজলাসে বসে শুনানি পর্যবেক্ষণ করেন।
১৯৯৬ সালে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনের মুখে বিএনপি সরকার সংবিধানে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করে। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে এ ব্যবস্থা বাতিল করে। তার আগে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে এ ব্যবস্থাকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করা হয়।
শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই সরকার তড়িঘড়ি করে সংবিধান সংশোধন করেছিল। এটি জনগণের সঙ্গে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’
বিএনপি মহাসচিবের আরেক আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস শুনানিতে বলেন, অবসরের পর কোনো বিচারপতির রায়ে সই করার আইনগত বাধা নেই। তিনি আরও বলেন, ‘রায় ঘোষণা ও সই করা দুইটি আলাদা বিষয়। সংক্ষিপ্ত রায়ে যা বলা হয়েছিল, পূর্ণাঙ্গ রায়ে তা পরিবর্তন হয়েছে—এ নিয়ে রিভিউ শুনানি চলছেই।’
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত আগস্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ করে আপিল বিভাগ।
এই মামলায় আবেদন করেছে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনসহ আরও কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক।
