শ্যারন ওজবার্নের উপস্থিতি ভক্তদের আবেগাপ্লুত করেছে

বিখ্যাত রকস্টার, ব্ল্যাক সাবাথ–এর ফ্রন্টম্যান ওজি ওজবার্নের মৃত্যু যেন এখনও সামলাতে পারেননি তার অনুরাগীরা। ঠিক এমন মুহূর্তেই স্বামীহারা শ্যারন ওজবার্নকে প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে দেখা গেছে লন্ডনের এক আড়ম্বরপূর্ণ ইভেন্টে—যা দেখে আবারও আবেগে ভেসেছেন ওজির ভক্তরা।

৭৩ বছর বয়সী শ্যারন ওজবার্ন উপস্থিত ছিলেন ডিজাইনার রেবেকা ভ্যাল্যান্স আয়োজিত লন্ডনের বিশেষ অনুষ্ঠানে। সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে কেলি ওজবার্ন, যিনি এদিন ৪১ বছর বয়সে মায়ের পাশে শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন।

শ্যারন এদিন গাঢ় লাল রঙের আকর্ষণীয় গাউন পরে আসেন, আর কেলি ছিলেন ফিকে গোলাপি রঙের হ্যাল্টারনেক পোশাকে। দু’জনে একসঙ্গে হাত ধরে ছবি তুললে সেখানে উপস্থিত অতিথিরাও সমবেদনায় ভেসে উঠেন।

ওজির মৃত্যুর পর এটাই ছিল শ্যারনের প্রথম প্রকাশ্য অনুষ্ঠান

গত ২২ জুলাই যুক্তরাজ্যের বাকিংহামশায়ারের বাড়িতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ওজি ওজবার্ন। দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসন্স রোগে ভুগছিলেন ‘প্রিন্স অফ ডার্কনেস’ নামে পরিচিত এই কিংবদন্তি গায়ক।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তারকারা হাজির ছিলেন লন্ডনের অনুষ্ঠানে—হলি ভ্যাল্যান্স, অ্যাম্বার লে বোন, জারা টিন্ডালসহ আরও অনেকে। শোকের মাঝেও শ্যারন ও কেলির দৃঢ় উপস্থিতি ভক্তদের মনে অশ্রুভেজা ভালোবাসা ফিরিয়ে এনেছে।

ওজির মৃত্যুর পর পরিবার এক আবেগঘন বিবৃতি দিয়েছিল—“শব্দেরও বেশি বেদনা নিয়ে জানাতে হচ্ছে, আমাদের প্রিয় ওজি ওজবার্ন আজ সকালে চলে গেছেন। শেষ মুহূর্তে পরিবার তাকে ঘিরে ছিল ভালোবাসায়। আমাদের গোপনীয়তার প্রতি সবাইকে সম্মান জানাতে অনুরোধ করছি।”

তার জন্মস্থান বার্মিংহামে একটি শোকপ্রসেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ৩১ জুলাই তাকে সমাহিত করা হয়।

মৃত্যুর মাত্র দুই সপ্তাহ আগে বার্মিংহামের ভিলা পার্কে ব্যান্ডমেটদের সঙ্গে শেষবার মঞ্চ মাতিয়েছিলেন ওজি—যা আজ হয়ে আছে তার জীবনের শেষ সংগীত স্মৃতি।

শ্যারন ওজবার্নের সাম্প্রতিক এই প্রকাশ্য আবির্ভাব ওজি ভক্তদের মনে আবারও মনে করিয়ে দিল—একজন রকার চলে গেলেও তার সঙ্গীত, স্মৃতি আর ভালোবাসা কখনও হারিয়ে যায় না।