এত বড় তারকার এমন তাড়াহুড়োর বিদায় কেন?

ভারতের বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রের মৃত্যুর পর তার শেষযাত্রা ঘিরে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে অনুরাগীদের মধ্যে। সোমবার সকালে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘হি-ম্যান’খ্যাত এই অভিনেতা। কিন্তু মৃত্যুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মরদেহ তড়িঘড়ি শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরিবারের ঘনিষ্ঠ জন ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিল না— যা মেনে নিতে পারছেন না লাখো ভক্ত।

সকালে ধর্মেন্দ্রের বাড়ির সামনে একটি অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছতেই প্রথমে ধারণা করা হয়, বর্ষীয়ান অভিনেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই পরিস্থিতি বদলে যায়। অ্যাম্বুল্যান্সটি ফেরত না গিয়ে সোজা নিয়ে যায় তার মরদেহ। কোনোরকম আনুষ্ঠানিকতা, শেষ দর্শন বা পাবলিক হোমেজ ছাড়াই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য।

খবর পেয়ে ভক্তরা ছুটে যান ধর্মেন্দ্রের বাড়ি ও শ্মশানে। কিন্তু তারা কারোরই শেষবারের মতো প্রিয় তারকাকে দেখার সুযোগ হয়নি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ক্ষোভের মন্তব্য।

একজন অনুরাগী লিখেছেন, “পরিবার যে পরিমাণ তাড়াহুড়ো করল, মনে হলো যেন এই দিনের জন্যই অপেক্ষা করছিল!”
আরেকজনের মন্তব্য— “এত বড় তারকার শেষযাত্রা এমন গোপনে? অ্যাম্বুল্যান্সে তাড়াহুড়ো করে নিয়ে যাওয়া— মানতে কষ্ট হচ্ছে।”
আরও একজন ভক্ত আক্ষেপ করে লিখেছেন, “যিনি সারা জীবন কোটি মানুষের মনোরঞ্জন করেছেন, তাঁকে আমাদের শেষ শ্রদ্ধাটুকু জানানোর সুযোগও দেওয়া হলো না।”

এদিন দুপুরে হেমা মালিনীকে শ্মশানে প্রবেশ করতে দেখা যায়— মুখ থমথমে, চোখে শোক। পরে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামেন অভিনেত্রী ঈশা দেওল, ওড়নায় মুখ ঢেকে। প্রাক্তন স্বামী ভরত তখতানীও শ্মশানে উপস্থিত হন শেষ সম্মান জানাতে। এরপর একে একে পৌঁছান সানি দেওলসহ বলিউডের অন্যান্য তারকারা।

অনুরাগীদের প্রশ্ন একটাই— “কেন এত তাড়াহুড়ো? কেন এত গোপনীয়তা?”
তাদের দাবি, ধর্মেন্দ্রের মতো একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি আরও সম্মান ও সময় দাবি করত। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ না পেয়ে আজ হতাশ ভক্তসমাজ।