সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গেও দারুণ জমেছিল ধর্মেন্দ্রর 

বলিউডের পর্দায় রোমান্সের প্রতীক বলা হয় ধর্মেন্দ্রকে। সুঠাম দেহ, সপ্রতিভ চোখের চাহনি আর নায়কোচিত উপস্থিতি— ৬০–৭০ দশকের দর্শকদের কাছে তিনি ছিলেন ‘ড্রিম–হিরো’। এমনকি মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রায় সব জনপ্রিয় অভিনেত্রীই কখনো না কখনো এই সুদর্শন নায়কের পর্দা–সম্মোহনে মুগ্ধ হয়েছেন। সেই তালিকায় আছেন বাংলার কিংবদন্তি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেন, লিলি চক্রবর্তী এবং সুপ্রিয়া দেবীও।

সুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে প্রথম ছবি ‘বেগানা’

১৯৬৩ সালে মুক্তি পায় ধর্মেন্দ্র ও সুপ্রিয়া দেবীর প্রথম ছবি ‘বেগানা’। সদাশিব রাও কবি পরিচালিত এই রোমান্টিক ড্রামা বাংলা–হিন্দি উভয় দর্শকদের মধ্যেই আলোচনায় আসে। সেই সময় বাংলা চলচ্চিত্রে সুপ্রিয়া দেবী ছিলেন সমান জনপ্রিয়, বিশেষত অভিনয়ের বৈচিত্র্যে তিনি সুচিত্রা সেনকেও সরাসরি টক্কর দিচ্ছিলেন।

পরের বছর দু’জন অভিনয় করেন ‘আপ কি পরছাঁইয়া’ (১৯৬৪)–তে। এই ছবিতেও তাদের জুটি দারুণ প্রশংসা কুড়ায়।

সবচেয়ে সফল ধর্মেন্দ্র–হেমা মালিনীর জুটি 

নায়িকাদের সঙ্গে পর্দায় রসায়নের কথা উঠলে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসে ধর্মেন্দ্র–হেমা মালিনী জুটি। একসঙ্গে ৪৫টি ছবিতে অভিনয় করে বলিউডে তৈরি করেছেন সাফল্যের ইতিহাস।

এরপর জয়া প্রদার সঙ্গে ১৬টি, অনিতা রাজের সঙ্গে ১২, রেখার সঙ্গে ১২, জিনত আমানের সঙ্গে ১১, রীনা রায়ের সঙ্গে ১০, সায়রা বানুর সঙ্গে ৯, শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ৯, আশা পারেখের সঙ্গে ৮, মীনা কুমারীর সঙ্গে ৭, মালা সিনহার সঙ্গে ৭, ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে ৬, নূতনের সঙ্গে ৬, তনুজার সঙ্গে ৬, নীতু সিংয়ের সঙ্গে ৫ ও পরভিন ববির সঙ্গে ৪টি ছবিতে জুঁটি বেধেছেন ধর্মেন্দ্র। 

বাংলার কিংবদন্তি সুচিত্রা সেনের সঙ্গে তার অভিনীত ‘চুপকে চুপকে’–র রিমেক–সংযোগ, অথবা লিলি চক্রবর্তীর সঙ্গে স্ক্রিনশেয়ার—সবই প্রমাণ করে বাংলা–হিন্দি দুই জগতেই ধর্মেন্দ্র ছিলেন সমান জনপ্রিয়।

‘হি–ম্যান’ থেকে রোমান্টিক নায়ক- উত্থানের গল্প

পঞ্জাব থেকে মুম্বাই এসেছিলেন ভাগ্য অন্বেষণে। রাজ কাপুর, গুরু দত্ত, দেব আনন্দের রোমান্টিক যুগ পেরিয়ে যখন বলিউড নতুন ধারার নায়ক খুঁজছিল—ঠিক তখনই আবির্ভাব হয় ধর্মেন্দ্রর।
রূপালী পর্দায় রোমান্স, অ্যাকশন, সংলাপ আর উপস্থিতিতে তিনি তৈরি করেন আলাদা পরিচয়। দর্শকদের কাছে তার নাম হয়ে ওঠে—বলিউডের হি–ম্যান।