মামদানির বিজয়ে বাজল বলিউডি ‘ধুম মাচালে’!

নিউইয়র্কে ইতিহাস গড়লেন ৩৪ বছর বয়সী তরুণ রাজনীতিক জোহরান মামদানি। এক শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন এই ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক নেতা। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে হারিয়ে তিনি অর্জন করেছেন এক ঐতিহাসিক জয়।

বিজয়ের রাতের মঞ্চে মামদানির ভাষণ ছিল রাজনীতির নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত। সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,“বন্ধুরা, আমরা আজ একটি রাজনৈতিক রাজবংশকে পরাজিত করেছি। আমি কুয়োমোর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য শুভকামনা জানাই, তবে আজ রাতেই শেষবারের মতো তার নাম উচ্চারণ করছি—কারণ আজ থেকে শুরু হচ্ছে সবার রাজনীতি, কিছু মানুষের নয়।”

ভাষণ শেষ হতেই সমাবেশস্থল মাতিয়ে তোলে বলিউডের জনপ্রিয় গান ‘ধুম মাচালে’। মুহূর্তেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে হাজারো সমর্থক। নাচে-গানে জমে ওঠে ব্রুকলিনের বিজয় উৎসব।

বিজয় মঞ্চে মামদানির পাশে ছিলেন তার স্ত্রী রামা দুওয়াজি এবং মা, খ্যাতনামা ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার। মঞ্চে যখন বলিউডের বিখ্যাত গান বেজে উঠল, তখন পুরো পরিবেশ হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর—নিউইয়র্কের রাজনৈতিক ইতিহাসে যেন নতুন এক সংস্কৃতি যোগ হলো সেই সুরের মাধ্যমে।

এটাই প্রথম নয়। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ই মামদানি নিজের প্রোমো ভিডিওতে বলিউডের ওম শান্তি ওম সিনেমার গান ব্যবহার করেছিলেন, যেখানে তাকে দেখা গিয়েছিল নিখুঁত হিন্দিতে কথা বলতে। এবার বিজয় রাতেও তার পাশে ছিল বলিউডের সুর—যা নিউইয়র্কের তরুণ ভোটারদের কাছে তাকে আরও আপন করে তুলেছে।

জোহরান মামদানির এই জয় শুধু রাজনীতির নয়, সংস্কৃতিরও এক মিলন। দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত তরুণের এই সাফল্য অভিবাসী সমাজের নতুন আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। আর সেই আনন্দে বাজল বলিউডের বিখ্যাত গান—“ধুম মাচালে”—যা যেন তার বিজয়ের প্রতীকী সঙ্গীতে পরিণত হয়েছে।