আন্দোলনের ৫ নেতাসহ প্রাথমিকের ৪২ শিক্ষককে বদলি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৪৩, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৪৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
তিন দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪২ জন সহকারী শিক্ষককে স্ট্যান্ড রিলিজ করে পাশের জেলায় বদলি করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বদলি হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা পাঁচ শীর্ষ নেতার নামও রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে জারি হওয়া মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ আদেশে এই বদলির অনুমোদন দেওয়া হয়।
আদেশ অনুযায়ী বদলি হওয়া পাঁচ মূল নেতা হলেন- খায়রুন নাহার লিপি, আহ্বায়ক, প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ; মো. শামছুদ্দীন মাসুদ, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি; মো. আবুল কাশেম, সভাপতি, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি; মো. মাহবুবার রহমান, সমন্বয়ক, প্রাথমিক শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ; মো. মনিরুজ্জামান, শিক্ষক, ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মিঠামইন।
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত সবাইকে নিজ জেলা ছাড়া নিকটবর্তী অন্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। ফলে তারা আর নিজ জেলার কর্মস্থলে থাকতে পারবেন না।
বদলির তালিকায় নোয়াখালীতে ৪০ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এর আগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক আদেশে নোয়াখালীর শিক্ষক মো. শামছুদ্দীন মাসুদকে প্রশাসনিক কারণে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর দক্ষিণ চরলক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, “সারা দেশে ৫০০ থেকে ৫৫০ জন সহকারী শিক্ষককে এভাবে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। শুধু নোয়াখালী জেলাতেই প্রায় ৪০ জন শিক্ষককে স্থানান্তর করা হয়েছে।”
গত ২৭ নভেম্বর থেকে দেশের প্রায় ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন। বেতন–ক্রম পুনর্বিন্যাস, গ্রেড উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন চলমান।
শিক্ষক নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের যৌক্তিক দাবি উপেক্ষা করে কর্তৃপক্ষ আন্দোলন ভাঙতে ‘নির্যাতনমূলক’ বদলির আশ্রয় নিয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের দাবি—এটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অংশ।
এর আগে বুধবার কর্মবিরতি স্থগিত করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষকরা। তারা স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তবে কিছু কিছু স্কুলের শিক্ষকরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচক ব্যাহত রেখেছেন।
