যুক্তরাজ্যের নতুন নীতি, নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ বন্ধ
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১০:১৭, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫
যুক্তরাজ্যের নতুন অভিবাসন নীতির কারণে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ সীমিত করতে শুরু করেছে দেশটির অন্তত নয়টিবিশ্ববিদ্যালয়। ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বেড়ে যাওয়ায় এবং নতুন মানদণ্ডে ‘উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এসব বিশ্ববিদ্যালয় সতর্ক অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফিনান্সিয়াল টাইমস।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) খবরে বলা হয়, নতুন নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনকারীদের দেশভিত্তিক ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ৫ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে—যা আগে ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত পাকিস্তানের ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার ১৮ শতাংশ এবং বাংলাদেশের ২২ শতাংশ—নতুন সীমা থেকে বহুগুণ বেশি। এ সময় যুক্তরাজ্যে প্রত্যাখ্যাত ২৩ হাজার ৩৬টি শিক্ষার্থী ভিসার একটি বড় অংশ এসেছে এই দুই দেশ থেকেই। পাশাপাশি কাজ বা শিক্ষা ভিসায় থেকে আশ্রয় আবেদনের হার বেড়ে যাওয়াও ঝুঁকি বাড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বা ভর্তির আবেদন স্থগিত করেছে, সেগুলো হলো—ইউনিভার্সিটি অব উলভারহ্যাম্পটন, সান্ডারল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, কোভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট লন্ডন, হার্টফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটি, লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি, অক্সফোর্ড ব্রুকস ইউনিভার্সিটি, বিপিপি ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব চেস্টার এবং গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান ইউনিভার্সিটি।
কিছু প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে, আবার কিছু কেবল স্নাতক পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ বন্ধ রেখেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীই আয়ের গুরুত্বপূর্ণ উৎস, বিশেষ করে তুলনামূলক কম টিউশন ফি-র প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য। কিন্তু নতুন মূল্যায়ন কাঠামো সঠিকভাবে না মানতে পারলে তাদের লাইসেন্স ঝুঁকিতে পড়তে পারে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাধ্য হয়েই উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর আবেদন সীমিত করতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে পড়তে যাওয়ার প্রবণতা এখনো উঁচুতেই রয়েছে। তবে নতুন নিয়ম, অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই, বাড়তি খরচ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কঠোর নীতি—সব মিলিয়ে দেশটিতে উচ্চশিক্ষার পথ আরও কঠিন হয়ে উঠছে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য।
