মন্ত্রণালয়ের হুঁশিয়ারির পরও প্রাথমিক শিক্ষকদের কমপ্লিট শাটডাউন অব্যাহত
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০০:২৯, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি থেকে সরে আসেননি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ছবি: সংগৃহীত
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কড়া সতর্কবার্তার পরও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি থেকে সরে আসেননি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। ১১তম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সংগঠনগুলো।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের যৌথ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক মু. মাহবুবর রহমান সমাজকালকে জানান, “আজ সর্বাত্মক শাটডাউন পালন হয়েছে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।”
এর আগে সহকারী শিক্ষকরা বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় তাদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানায়—পরীক্ষা বর্জন বা শাটডাউন অব্যাহত রাখলে সরকারি চাকরি আইন, আচরণ বিধিমালা ও ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিক এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শিক্ষক সংগঠনগুলো ১ ডিসেম্বর থেকে কর্মবিরতি এবং ৩ ডিসেম্বর থেকে ‘তথাকথিত কমপ্লিট শাটডাউন’ শুরু করেছে, যা সরকারি বিধিমালার পরিপন্থী।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়— ১১তম গ্রেড, ১০ ও ১৬ বছর চাকরির পর উচ্চতর গ্রেড, প্রধান শিক্ষক পদে ১০০% বিভাগীয় পদোন্নতি— দাবিগুলোর বিষয়ে ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও জাতীয় বেতন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
৭ আগস্ট বেতন কমিশনকে পাঠানো পত্রে ১১তম গ্রেড বিবেচনার অনুরোধ জানানো হয়েছে, এবং পে-কমিশনের রিপোর্ট পাওয়ার পর অর্থ বিভাগ পদক্ষেপ নেবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে—কিছু শিক্ষক বার্ষিক পরীক্ষায় বাধা সৃষ্টি করেছেন এবং পরীক্ষা নিতে আগ্রহী শিক্ষকদের ওপর হামলা ও লাঞ্ছনার ঘটনাও ঘটেছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা চরম ঝুঁকিতে পড়ছে বলে উল্লেখ করেছে মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অবিলম্বে কাজে যোগ দিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকের পরীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
