সেন্টমার্টিন থেকে ১৮৫০ কেজি বর্জ্য অপসারণ ‘কেওক্রাডং’র
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮:৩৪, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:১৭, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
সেন্টমার্টিন থেকে ১৮৫০ কেজি বর্জ্য অপসারণ করল কেওক্রাডং। ছবি: সমাজকাল
প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে দুই দিনের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১৮৫০ কেজি বর্জ্য সরিয়ে নিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কেওক্রাডং বাংলাদেশ’। এটি সেন্টমার্টিনে সংগঠনটির ১৫তম পরিচ্ছন্ন অভিযান।
দুই দিনের পরিছন্নতা অভিযান আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে শেষ হয়। ইউনিলিভার বাংলাদেশের সহযোগিতায় এতে বিভিন্ন পেশাজীবী, স্থানীয় বাসিন্দা, সেন্টমার্টিনের স্কুল-মাদরাসার শিক্ষার্থীসহ পাঁচ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
কেওক্রাডং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী মুনতাসির মামুন বলেন, দুই দিনব্যাপী সেন্টমার্টিনের অলিগলি ও সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্লাস্টিক বোতল, প্লাস্টিকের প্যাকেটসহ নানা ধরনের অপচনশীল ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

এর আগেও সংগঠনটির উদ্যোগে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপে এ ধরনের কার্যক্রম চালানো হয়েছিল বলে জানান তিনি।
কেওক্রাডং বাংলাদেশেকে স্বাগত জানিয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ছৈয়দ আলম বলেন, “সেন্টমার্টিনকে পরিষ্কার রাখার জন্য ১৫ বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। এইভাবে সবাই এগিয়ে এসে নিজেদের দায়িত্ব পালন করলে সেন্টমার্টিনের জন্য খুবই উপকার হবে।’
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান ফয়েজুল ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি প্রতিবছরের মতো এ বছরও সেন্টমার্টিনে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে; যা সেন্টমার্টিনের জন্য খুব উপকারী।
তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিবছর হাজারো পর্যটক এই দ্বীপে আসেন। স্থানীয় ও পর্যটকদের কারণে সৈকতে নানা ধরনের বর্জ্য জমা হয়ে থাকে। কেওক্রাডংয়ের মতো সংস্থার প্রশংসনীয় উদ্যোগের কারণে দ্বীপের সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।”

মুনতাসির মামুন বলেন, সেন্টমাটিনে সারা বছর পযর্টক আসার সুযোগ দিলে ভালো হয়। তবে খুব সীমিত সংখ্যক পর্যটক আসতে দিতে হবে। এভাবে হলে বেশি পযর্টকটকদের চাপ পড়বে না সেন্টমাটিনে। আর সেন্টমার্টিনের মতো ছোট দ্বীপে পড়ে থাকা প্লাস্টিক যদি মূল ভূখণ্ডে নিয়ে আসা না হয় তবে এর পরিণাম শুধু এই দ্বীপের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। ছড়িয়ে পড়বে বঙ্গোপসাগরেও।
তিনি বলেন, “আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস ছিল সামর্থ্য অনুযায়ী সেই পরিণামকে যতটা সম্ভব সীমিত করা।”
