ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলকর্মী সাদ্দাম হত্যায় মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সাদ্দাম হোসেনকে হত্যার ঘটনায় মামলা করেছেন নিহতের বাবা মোস্তফা কামাল মস্তু। মামলায জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপকে (৪৯) প্রধান আসামি করা হয়েছে। 

মামলাটির সাতজন আসামির অন্যরা হলেন, বাবুল মিয়া (২৮), সাদিল মিয়া (৩৫),পলাশ মিয়া (৩৫), টিটন মিয়া (৩৪), বাপ্পা মিয়া (২৬) ও কাজল মিয়া (৪৫)। নিহত সাদ্দাম ও প্রধান আসামি দিলীপসহ সব আসামিই শহরের কান্দিপাড়া মহল্লার মাইমল হাটির বাসিন্দা।

শনিবার (২৯ নভেস্বর) ভোররাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল সদর থানায় মামলাটি হয়  বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।  

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেস্বর) রাতে শহরের কান্দিপাড়া মাদরাসা রোডে দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও লায়ন শাকিল গ্রুপের মধ্যে পূর্ববিরোধের জেরে শাকিল ও তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এ সময় দিলীপের সমর্থক তিনজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হন। এরপর আরো দুজনকে মারধর ও আহত করা হয়। 

তবে, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, শহরের কান্দিপাড়া মাইমলহাটির বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি ও গলা কেটে সাদ্দামকে হত্যা করেছেন দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ও তার সহযোগীরাই। 

মামলার বাদী মোস্তফা কামাল মস্তু বলেন, ‘আমার ছেলে দেলোয়ার হোসেন দিলীপের সাথে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতি করতেন। তারা একই সাথে চলাফেরা করতেন। ঘটনার রাতে দিলীপ ও তার সহযোগীরা সাদ্দামকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পর খবর আসে, সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সড়কে পড়ে আছেন। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন’। 

সাদ্দামের বাবার অভিযোগ, ‘দিলীপের সাথে শাকিলের বিরোধে প্রতিপক্ষের লোকদের ফাঁসাতে আমার ছেলেকে হত্যা করেছেন দিলীপই। আমরা দিলীপ ও তার সহযোগীদের কঠোর শাস্তি দাবি করি’।

তবে, জেলা দেলোয়ার হোসেন দিলীপ ফেসবুকে লাইভ ও পোস্ট করে সাদ্দাম হোসেন হত্যার ঘটনায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাতে সাদ্দাম আমার সাথে ছিলেন। আমরা কয়েকজন একসাথে যাওয়ার সময় সাকিল ও তার সহযোগীরা তাদের উপর দুই রাউন্ড গুলি চালান। তখন তারা দৌড়ে পালাতে থাকেন। এ সময় সাদ্দাম রাস্তায় পড়ে যান। ফিরে এসে দেখি, সাদ্দাম গুলিবিদ্ধ’।