উখিয়া সমিতি নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে
টেকনাফ-উখিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:২২, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
উখিয়ার কুতুপালং বাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সমিতির আসন্ন নির্বাচনে অস্বাভাবিক ব্যয় ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। ছবি: সমাজকাল
উখিয়ার কুতুপালং বাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনা সমিতির আসন্ন নির্বাচনে অস্বাভাবিক ব্যয় ঘিরে সমালোচনা শুরু হয়েছে। নির্বাচনী বাজেটে ‘অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ’–এর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আবুল কালামের বিরুদ্ধে।
সমিতির একাধিক সদস্য ও প্রার্থী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের নামে বিভিন্ন খাতে প্রয়োজনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি অর্থ দেখানো হয়েছে। তাদের দাবি—ব্যয়ের হিসাব প্রস্তুত ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার কোনো চিহ্ন নেই। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে খরচ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে, যার একটি অংশ ব্যক্তিগতভাবে গ্রহণ করা হয়েছে বলে তাদের সন্দেহ।
এক সদস্য সমাজকালকে বলেন, “আগের নির্বাচনের তুলনায় এবার ব্যয় তিন–চার গুণ বেশি দেখানো হয়েছে। কোথায় কী খরচ হচ্ছে, কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যয় বাড়ানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
অভিযোগকারীরা আরও জানান, সমবায় কর্মকর্তার প্রভাবেই হিসাবকে ‘অতি ব্যয়িত’ দেখানো হয়েছে। যদিও এসব অভিযোগের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রমাণ এখনো প্রকাশ পায়নি।
যোগাযোগ করা হলে সমবায় কর্মকর্তা আবুল কালাম অভিযোগ অস্বীকার করে সমাজকালকে বলেন, “সব ব্যয় নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে টাকা নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।”
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত করা হবে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ব্যয়ের অস্বচ্ছ হিসাবকে কেন্দ্র করে সমিতির সাধারণ সদস্যদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তারা অবিলম্বে ব্যয়ের খাতভিত্তিক হিসাব প্রকাশ এবং একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
একের পর এক অভিযোগে সমবায় কর্মকর্তা আবুল কালামকে ঘিরে বিতর্ক আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহে কোটবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচনেও ‘অতিরিক্ত ব্যয় দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ’-এর অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী অনলাইনে পোস্ট করে দাবি করেন—প্রয়োজনের তুলনায় খরচ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে।
ঘটনাগুলো নিয়ে সাধারণ ভোটার ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, একাধিক নির্বাচনে একই ধরনের অভিযোগ ওঠা—ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি করছে।
স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত ও ব্যয়ের বিস্তারিত প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
