টেকনাফে অপহরণকারীদের আস্তানায় সাঁড়াশি অভিযান

কক্সবাজারের টেকনাফে সাম্প্রতিক অপহরণের ঘটনায় সশস্ত্র অপহরণকারী চক্রকে ধরতে যৌথভাবে  সাঁড়াশি অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রবিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন পশ্চিমাধিক পাহাড়ি এলাকায় পুলিশ, র‍্যাব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সমন্বিত এ অভিযান চলে।

অভিযানের সময় ড্রোনসহ আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় সন্ত্রাসীদের একাধিক পাহাড়ি আস্তানা শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে এসব আস্তানায় আগুন দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে অভিযান পরিচালনাকারী একটি সূত্র। তবে প্রচণ্ড দুর্গমতা ও সন্ত্রাসীদের আগাম তৎপরতার কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সবচেয়ে আলোচিত নিখোঁজ ব্যক্তি নুরুল ইসলাম (৫০)–কে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। গত কয়েকদিনে একই এলাকায় ধারাবাহিকভাবে কয়েকজনকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা সশস্ত্র চক্রের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর সমাজকালকে বলেন,“স্থানীয় দুষ্কৃতকারী ও রোহিঙ্গাদের নিয়ে গঠিত একটি সশস্ত্র চক্র দীর্ঘদিন ধরে মাদক, মানব পাচার ও অপহরণে জড়িত। অপহৃতকে উদ্ধারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় তাদের বেশ কিছু আস্তানা ধ্বংস হলেও চক্রের মূল সদস্যরা পালিয়ে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে অতিরিক্ত অভিযানের প্রস্তুতি চলছে।

নিখোঁজ নুরুল ইসলামের পরিবার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত অভিযান জোরদার করে অপহরণকারী চক্রকে আইনের আওতায় আনা জরুরি।