তেঁতুলিয়ায় বাড়ছে শীতের আমেজ, ডিসেম্বরের শুরুতেই জেঁকে বসার আভাস
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৪৫, ২২ নভেম্বর ২০২৫
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শীতের উপস্থিতি দিন দিন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত বইছে হিমেল হাওয়া, আর্দ্রতায় ভিজে যাচ্ছে বাতাস—সব মিলিয়ে জেলায় নেমে এসেছে প্রকৃত শীতের অনুভূতি।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, আর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার। ঘন কুয়াশা না থাকলেও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতা ঠান্ডার অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মিললেও তেঁতুলিয়ায় দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য অনেকটাই দৃশ্যমান। ফলে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত শীত অনুভব হচ্ছে আরও বেশি।
এর আগের দিন শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বৃহস্পতিবারের ১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি থেকে কিছুটা বেড়েছিল। শুক্রবার বিকেলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া, দেবীগঞ্জ, বোদা, আটোয়ারী এবং পঞ্চগড় সদর—সব উপজেলাতেই ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া বইছে। দিনের বেলায় রোদ উঠলেও প্রচণ্ড আর্দ্রতা ও শীতল বাতাস শরীরে বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের কামড়।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে তেঁতুলিয়ার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে রয়েছে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমবে বলে তিনি জানান। ডিসেম্বরের শুরুতেই উত্তরাঞ্চলে শীত পুরোপুরি জেঁকে বসবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
উত্তরের জনজীবনে তাই এখনই শুরু হয়ে গেছে শীতের প্রস্তুতি—গরম কাপড়, সকালের কুয়াশা, আর ভোরের ঠান্ডা হাওয়া যেন জানান দিচ্ছে, শীত আর কেবল অপেক্ষায় নেই; সে এসে গেছে দরজায়।
