বগুড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হত্যায় তিনজনের ফাঁসি

বগুড়ার গাবতলীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোজাম্মেল হক হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শাজাহান কবীর এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বাবুল প্রাং ওরফে আবুল কালাম আজাদ, মানিক এবং মনিরুজ্জামান ওরফে মিশু। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পিন্টু ওরফে মাজেদুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন ও আশিক। রায়ে প্রতিটি আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল বাছেদ সাংবাদিকদের জানান, “দীর্ঘ আট বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত এই ন্যায্য রায় দিয়েছেন। ভুক্তভোগী পরিবার অবশেষে ন্যায়বিচার পেয়েছে।”

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর দুর্গাহাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তোজাম্মেল হক তার চাচাতো ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াতে অংশ নিতে বৈঠাভাঙা গ্রামে যান। অনুষ্ঠান শেষে রাতে তিনি মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণপাড়া এলাকায় সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে হামলা চালায়।

দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তোজাম্মেল ও তার চাচাতো ভাই নয়ন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোজাম্মেল মারা যান।

পরে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে গাবতলী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়।

রায়ের সময় শুধু যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পিন্টু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত নির্দেশ দেন—গ্রেপ্তারের পর থেকেই তাদের সাজা কার্যকর হবে।