১ গাছের ১৩ মাথা..!
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:০৭, ৮ নভেম্বর ২০২৫
১ গাছের ১৩ মাথা..! ছবি: সংগৃহীত
অদ্ভুত এক নারকেল গাছ আছে নাটোরে। এই গাছের ১৩ মাথা, কান্ড এক। প্রত্যেকটা মাথা আলাদা আলাদা গাছে রূপ নিয়েছে। সেখান থেকে নতুন পাতা গজাচ্ছে।
দূর থেকে দেখলে মনে হয়, যেন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে একাধিক গাছ। তবে কাছে গেলে বোঝা যায়, এটি আসলে একটি কাণ্ড থেকে বের হওয়া ১৩টি মাথাওয়ালা একক গাছ।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে থাকা এই ১৩ মাথাওয়ালা নারকেল গাছের বয়স ২৫-২৬ বছর।
প্রতিদিনই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ ভিড় করছে গাছটি দেখতে। ছবি তুলছে। গছের মাথা গুণছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে এই অদ্ভুত গাছের গল্প।
একসময় গাছটির মাথা ছিল ১৪টি, বর্তমানে টিকে আছে ১৩টি। সবগুলোই সতেজ। প্রতিটি মাথায় ঘন পাতার বিন্যাস এমনভাবে ছড়ানো যে মনে হয়, এক অনন্য শিল্পকর্ম।
গাছটি বিষয়ে কাছিকাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম জানান, গাছটির বয়স প্রায় ২৫-২৬ বছর। লাগানোর কয়েক বছর পর থেকেই কাণ্ডে একাধিক মাথা গজাতে শুরু করে। সময়ের সঙ্গে মাথার সংখ্যা বেড়েছে, আবার কিছু শুকিয়েও গেছে। এখন ১৩টি মাথা টিকে আছে। কলেজের পক্ষ থেকে নিয়মিত সার ও ওষুধ দিয়ে পরিচর্যা করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল আহমেদ বলেন, “একটি নারকেল গাছে এতগুলো মাথা—এমন দৃশ্য আর কোথাও দেখা যায় না। খুব সুন্দর লাগে দেখতে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ গাছটি দেখতে আসে, এতে আমাদের গর্ব হয়।”
গাছটি ঘিরে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যেও রয়েছে উচ্ছ্বাস। কাছিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিম বলে, “নারকেল গাছের ১৪টা মাথা দেখতে অনেক মানুষ আসে। গাছটি দেখে সবাই খুশি হয়—আমরাও খুশি হই।”
গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে. এম. রাফিউল ইসলাম বলেন, “একটি নারকেল গাছে ১৩-১৪টি মাথা হওয়া খুব বিরল ঘটনা। এটি জেনেটিক কারণে হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সঠিক পরিচর্যা ও সার ব্যবস্থাপনার জন্য আমাদের কর্মকর্তারা তত্ত্বাবধান করবেন, যাতে গাছটি আরও দীর্ঘস্থায়ী ও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।”
