ভাড়াটে নেতা’ বিতর্কে মুখ খুললেন খুলনা-৬ আসনের বিএনপি প্রার্থী মনিরুল
খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭:৪০, ৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৪৬, ৭ নভেম্বর ২০২৫
কয়রায় নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে শুক্রবার সকালে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন খুলনা-৬ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হাসান। ছবি: ওয়েবসাইট
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ‘বহিরাগত প্রার্থী’ বিতর্কে মুখ খুলেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মনিরুল হাসান।
তিনি বলেছেন, `হ্যাঁ, আমার বাড়ি রূপসায়, তবে আমি খুলনার ছেলে। এখানকার উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের প্রশ্নে আমি একেবারে আপনাদেরই মানুষ। আমি যেখানে কাজ করি, সেখানেই নিজের জায়গা বানিয়ে নিই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার মনোনয়ন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার পর শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে কয়রায় নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মনিরুল হাসান বর্তমানে খুলনা জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব এবং রূপসা উপজেলার সাবেক শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
এই প্রার্থী বলেন, ‘১৪ বছর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছি। উন্নয়ন কীভাবে আনতে হয়, আমি জানি। আমি এনার্জেটিক, পরিশ্রমী ও পরিকল্পনাবান মানুষ। একবার সুযোগ দিন—দ্বিতীয়বার ভোট চাইতে আসব না; যদি ভালো কাজ করি, তখন আপনারাই ডাকবেন।’
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এক সময় আমরা জামায়াতকে এমপি বানিয়েছিলাম, ভেবেছিলাম কয়রার ভাগ্য বদলাবে। কিন্তু তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা ছিল অসহায়। ক্ষমতার অপব্যবহার হয়েছিল।’
জমি দখল ও ঘের বাণিজ্যের সমালোচনা করে মনিরুল বলেন, ‘খুলনা শহরের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তি কয়রায় এসে হাজার হাজার বিঘা জমি দখল করে চিংড়িঘের বানিয়েছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই—জমি যার, ঘের তার। জোর করে জমি দখল করে ঘের করা চলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘কয়রার মানুষ কখনও ভাত-কাপড় চায়নি; তারা টেকসই বেড়িবাঁধ চায়। অতীতে হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল, কিন্তু বাঁধ হয়নি—লুটেরাদের পকেটে গেছে।’
নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি জানান, কয়রায় ২৫০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন, সুপেয় পানির নিশ্চয়তা, সুন্দরবন ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র উন্নয়ন, পাইকগাছার দেলুটি এলাকায় শিবসা নদীতে সেতু নির্মাণ ও শিক্ষার আলো ছড়িয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া হবে।
এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
