চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে মিলন হোসেন (৪০) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

মিলন হোসেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিৎলা গ্রামের বিল্লাল হোসেন মালিতার ছেলে। জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর দামুড়হুদা মডেল থানার একটি মারামারির মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকেই তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে ছিলেন।

কারা সূত্রে জানা যায়, রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন মিলন। এ সময় কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার পর তিনি মারা যান।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই সাইফুল ইসলাম জানান, গত ২৮ আগস্ট মারামারির ঘটনায় মিলনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার ধারাবাহিকতায় আদালতের নির্দেশে তিনি জেলহাজতে ছিলেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, “চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলন নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।”

চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের জেলর মো. ফখরউদ্দিন বলেন, “রোববার রাতে মিলন হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

এর আগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে হাজতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেও একই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা আলোচনায় আসে।