জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসা-পুনর্বাসন রাষ্ট্রের দায়িত্ব, মানববন্ধনে বক্তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:১০, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০২:১৪, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাডি’র মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা, নিরাপত্তা ও পুনর্বাসনে রাষ্ট্রকে অবিলম্বে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।রাজধানীতে এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, জুলাই আন্দোলনে আহত ও নিহত যোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়েই ‘নতুন বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী ও ডিজএবিলিটি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ অটিজম অ্যান্ড ডিজএবিলিটি ইনস্টিটিউট (বাডি) এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, জুলাই আন্দোলনে আহত বহু যোদ্ধা আজও যথাযথ চিকিৎসা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান ও নিরাপত্তার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারের নীরবতা এবং পুনর্বাসনে দৃশ্যমান উদ্যোগের অভাব হতাশাজনক।
মানববন্ধনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, “সমাজে প্রতিবন্ধী, অটিজম বা যুদ্ধাহত কেউই অবহেলার পাত্র নয়। আহত ও জীবন্ত শহীদদের অবমাননা মানবিকতার পরিপন্থি।”
তিনি আরও বলেন, ‘এই জুলাই যুদ্ধ না হলে আজকের স্বাধীন কণ্ঠস্বর পাওয়া যেত না।’
হেলাল উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, ‘শহীদ ও আহতদের সরকারি তালিকা প্রকাশে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। দ্রুত সঠিক তালিকা তৈরি করে পুনর্বাসন ও চিকিৎসায় কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।’
মঞ্চ-২৪ এর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ বলেন, “জুলাই আন্দোলনে ২০০০-এর বেশি শহীদ এবং ৩০-৩৫ হাজার যোদ্ধা স্থায়ীভাবে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। আজও তারা যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন থেকে বঞ্চিত। এটি রাষ্ট্রের জন্য লজ্জাজনক।”
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন মঞ্চ-২৪ এর মুখপাত্র ডিউক হুদা, জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধা রফিকুল ইসলাম, আহত জুলাই যোদ্ধা আব্দুল্লাহ, নুরে আলম প্রমুখ।
বক্তারা সরকারের প্রতি পাঁচ দফা দাবি জানান—
১. শহীদদের সরকারি তালিকা প্রকাশ
২. প্রকৃত আহতদের সঠিকভাবে শনাক্তকরণ
৩. চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা
৪. আহতদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা
৫. যেন রাজনৈতিক বা অনৈতিকভাবে কেউ আহত যোদ্ধাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া।
