ঢাকায় দূষণবিরোধী অভিযানে ৩২ মামলা 

ঢাকায় দূষণবিরোধী বিশেষ যৌথ অভিযান চালিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পরিচালিত এই অভিযানে মোট ৩২টি মামলা ও ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১২টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ, শব্দদূষণ–বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে কঠোর সতর্কবার্তা এবং নিষিদ্ধ পলিথিনবিরোধী অভিযানে দোকানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অভিযানে অংশ নেয়—পরিবেশ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, রাজউক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাব, বিএনসিসি, বাংলাদেশ স্কাউট, গ্রিন ভয়েস, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সসহ বিভিন্ন সংস্থা। মোট ১০টি ম্যাজিস্ট্রেট টিম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে; এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের ৩টি নিজস্ব টিম ছিল।

শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী আইইবি এলাকা ও উত্তরা এলাকায় দুটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
এ অভিযানে-৫টি মামলা, ১১ হাজার টাকা জরিমানা, ১২টি নিষিদ্ধ হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ এ ছাড়া একাধিক যান চালককে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আইইবি এলাকায় পরিচালিত অপর এক মোবাইল কোর্টে মানমাত্রার বেশি ধোঁয়া নির্গতকারী গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।১৫টি মামলা,৭০ হাজার টাকা জরিমানা ধোঁয়া নির্গতকারী চালকদের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০২২ অনুযায়ী বসিলা-মোহাম্মদপুর ও উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় পরিচালিত দুটি মোবাইল কোর্টে—৮টি মামলা, ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বায়ুদূষণ রোধে সতর্ক করা হয়।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০) অনুযায়ী উত্তরা এলাকায় পরিচালিত বিশেষ মোবাইল কোর্টে—৫টি মামলা ১৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সঙ্গে বাজার, সুপারশপ ও দোকান মালিকদের নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহার বন্ধে সচেতন করা হয়। সাধারণ জনগণের মধ্যে বিতরণ করা হয় পরিবেশবান্ধব বার্তাবহ লিফলেট।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও টেকসই নগর পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ ধরনের দূষণবিরোধী যৌথ অভিযান ঢাকা মহানগর ও সারাদেশব্যাপী নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।