মামুনের শরীরে ৭ গুলির চিহ্ন, ৬টি ভেদ করে বেরিয়ে গেছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩:১৫, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ফিল্মি কায়দায় গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুনের (৫৫) শরীরে সাতটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত
পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে ফিল্মি কায়দায় গুলিতে নিহত তারিক সাইফ মামুনের (৫৫) শরীরে সাতটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ছয়টি গুলি শরীর ভেদ করে বেরিয়ে গেছে এবং একটি বুলেট ময়নাতদন্তে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরের পর ঢামেক হাসপাতালের মর্গে মামুনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
ঢামেক মর্গের একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, মামুনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে—যার মধ্যে ছয়টি গুলি শরীর ছেদ করে বেরিয়ে যায়। বাকি একটি বুলেট শরীর থেকে অপসারণ করা হয়। ময়নাতদন্তের আগে সূত্রাপুর থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে।
এর আগে সোমবার বেলা ১১টার দিকে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে মামুনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি দৌড়ে একটি ভবনের গেটের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তখন দুই ব্যক্তি পেছন থেকে খুব কাছ থেকে একের পর এক গুলি ছোড়ে। পরে হামলাকারীরা হেঁটে চলে যায়।
ঘটনার পর হাসপাতালের লোকজন আহত মামুনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান, যেখানে চিকিৎসক বেলা ১২টা ১০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, নিহত ব্যক্তি “ইমন-মামুন গ্রুপ”-এর মামুন, যিনি একসময় সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। পরবর্তীতে নিজেই শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া গেছে, তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।”
মামুনের পরিবার জানায়, তিনি রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় ভাড়া থাকতেন এবং সোমবার সকালে একটি মামলার হাজিরা দিতে পুরান ঢাকায় গিয়েছিলেন।
